ঐরাবতের বিবর্তনে বাজিমাত
Apr 26, 2025 | 96
আমার ছোটবেলাটা কেটেছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে পশুপাখির ওপর বানানো ডকুমেন্টারি দেখতে দেখতে। সেই সকল ভিডিও-তে দেখা আমার সবচেয়ে প্রিয় প্রাণী হলো হাতি। এরা সবচেয়ে বৃহদাকৃতির স্থলচর প্রাণী। প্রকৃতিতে আকারের দিক থেকে কেবলমাত্র নীল তিমিই হাতির থেকে এগিয়ে আছে। কিন্তু, বৃহদাকৃতির বদলে হাতির অন্য একটি বৈশিষ্ট্য আমার অনেক বেশী নজর কেড়েছিলো। তা হলো হাতির বুদ্ধিমত্তা। হাতির মস্তিষ্কের ওজন প্রায় ৫ কেজি যা প্রাণীজগতে সর্ববৃহৎ। বুদ্ধিমত্তার বিচারে হাতির অবস্থান মানুষ, শিম্পাঞ্জি এবং ডলফিনের কাছাকাছি। তারা মানুষের মতো প্রায় ১২-১৩ বছর বয়সে প্রজনন শুরু করতে পারে। পরিণত ছেলে হাতিগুলো মেয়েগুলোকে আকর্ষণ করার জন্য নিজেদের মধ্যে মারামারি করে কায়িক শক্তির বহি:প্রকাশ করে (মনুষ্য সমাজের ছেলেরা আজকাল ইন্সটাগ্রামে জিমের ছবি পোস্ট করে এই কাজটা করে!)। সাধারণত সবচেয়ে বড় আর শক্তিশালী ছেলেগুলোকে মেয়ে হাতিরা পছন্দ করে। ২৫ থেকে ৪৫ বছরের মাঝে অধিকাংশ মেয়ে হাতি বাচ্চা প্রসব করে। ছেলেগুলোর ওপর খুব একটা নির্ভর না করে সবগুলো মেয়ে জোট বেঁধে একটা সুন্দর মাতৃতান্ত্রিক পরিবারে একসাথে বাচ্চাগুলোকে বড় করে। অসম্ভব আদর যত্নে বড় হওয়া সেই বাচ্চারা বেঁচে থাকে প্রায় ৭০ বছর পর্যন্ত।
ওজনের হিসাবে মানুষের তুলনায় হাতি প্রায় ১৩০ গুণ বড়। আমরা আগের অধ্যায়ে আলোচনা করেছি, প্রায় ২৫% মানুষের মৃত্যু হয় ক্যান্সারের কারণে। অথচ বিশাল বড় শরীর নিয়ে একই আয়ুষ্কাল (৭০ বছর) বেঁচে থাকা হাতি সমাজের মাত্র ৪% সদস্যের মৃত্যুর কারণ হলো ক্যান্সার। সুতরাং, হাতির ক্যান্সার হয় না বললেই চলে। হাতির এই ক্যান্সারমুক্ত জীবনের প্রথম রহস্যটি উদঘাটিত হয় ২০১৬ সালে। আমেরিকার শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ভিনসেন্ট লিঞ্চের দল হাতি, ম্যামথ সহ আরো বেশ কিছু বৃহৎ আকৃতির স্তন্যপায়ীদের ডিএনএ-কে তুলনা করে তাদের বিবর্তনের গল্প উদঘাটনের চেষ্টা করছিলেন। এধরণের গবেষণাকে বলা হয় evolutionary genomics (বৈবর্তনিক জিনতত্ত্ব). যেহেতু হাতির ক্যান্সার হয় না, সেহেতু লিঞ্চের দলের স্বভাবতই নজর গেল ক্যান্সার প্রতিরোধকারী ব্রেক প্রোটিনের দিকে। আমরা আগের অধ্যায়গুলোতে আলোচনা করেছি যে, ক্যান্সার হয় অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনের ফলে। প্রাণীদের শরীরে তাই কোষ বিভাজনকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দু’ধরণের প্রোটিন রয়েছে— অ্যাকসেলারেটর এবং ব্রেক। এই ব্রেক প্রোটিনের মধ্যে সবচেয়ে বহুল পরিচিত হচ্ছে p53 (পি৫৩).
পি৫৩ প্রোটিনের কারসাজি
পি৫৩ প্রোটিনকে বলা হয় জিনোমের রক্ষাকর্তা। আমরা ইতোমধ্যেই জেনেছি ডিএনএ পলিমারেজের ভুল, আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি, পারমাণবিক বিষ্ফোরণসহ নানাবিধ কারণে আমাদের কোষের প্রোটিন তৈরির রেসিপিতে ভুল তথ্য (মিউটেশন) জমা হয়। আর এই মিউটেশন যদি হয় কোষ বিভাজন নিয়ন্ত্রণকারী অ্যাকেসলারেটর অথবা ব্রেক প্রোটিনের রেসিপিতে, তাহলেই বাঁধবে ক্যান্সার। পি৫৩ প্রোটিনের কাজ হলো একটি কোষের ডিএনএ-তে কোন ধরণের গোলমাল বাঁধামাত্রই সে কোষ বিভাজনকে থামিয়ে দিবে। এরপর সে ডিএনএ-র সেই ক্ষতকে পূরণ করার জন্য কোষের মাঝে ‘ডিএনএ মেরামত প্রকল্প’ চালু করবে। এই মেরামত প্রকল্পে কাজ করে প্রায় কয়েক’শ প্রোটিন যারা বেশ কয়েকটি উপায়ে ডিএনএ-র নষ্ট হওয়া অংশকে ঠিক করে ফেলে। এভাবে সবকিছু মেরামত হবার পরেই কেবলমাত্র কোষটি তার বিভাজনকে পুনরায় চালু করতে পারে। কিন্তু, কোন কারণে যদি ডিএনএ মেরামত প্রকল্প সফল না হয় তখন পি৫৩ প্রোটিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাটি পালন করে। সে এই ক্যান্সারসম্ভাবী কোষটিকে মেরে ফেলার জন্য ‘অ্যাপোপটোসিস’ নামক প্রক্রিয়া শুরু করে। এর ফলে ডিএনএ-তে ভুল তথ্যধারী মিউটেশনটি নতুন কোষে আর সঞ্চালিত হতে পারে না। এভাবে পি৫৩ এর পুলিশি আচরণের মাধ্যমে আমাদের শরীরের এক কোষ থেকে তার পরবর্তী কোষে ডিএনএ-তে সঞ্চিত তথ্য নির্ভুলভাবে সঞ্চারিত হয়।
এখন ফেরত যাওয়া যাক ২০১৬ সালে ই-লাইফ পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞানী লিঞ্চের গবেষণায়। সাধারণ মানুষের ডিএনএ-তে পি৫৩ জিনটির মাত্র একটি কপি থাকে। কিন্তু, তারা বৃহদাকৃতির হাতি ও তার কিছু বৈবর্তনিক আত্মীয়দের (ম্যামথ) ডিএনএ পর্যালোচনা করে দেখতে পেলেন যে, পি৫৩ জিনটি তাদের ডিএনএ-তে প্রায় ২০ কপি পর্যন্ত বিদ্যমান থাকে। এই আবিষ্কারটি তারা নিজেদের প্রবন্ধে পরের পাতায় প্রকাশিত গ্রাফটির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
বৈবর্তনিক বৃক্ষ
পরের পাতার ছবিতে আসলে দুটো গ্রাফ রয়েছে। বামদিকে অবস্থিত গাছের ডালপালার মতো ছড়িয়ে পড়া গ্রাফটিকে বলা হয় ‘ফাইলোজেনেটিক ট্রি’ বা ‘বিবর্তনের বৃক্ষ’। আমরা তৃতীয় অধ্যায়ে আলোচনা করেছি বিবর্তন কীভাবে কাজ করে। হাজার বছরের পরিক্রমায় প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে কোন এলাকায় বসবাসকারী একটি প্রজাতির অধিকাংশ সদস্য যেকোন উপকারী মিউটেশন উত্তারাধিকারসূত্রে অর্জন করে। আমরা আলোচনা করেছিলা কেন ইঁদুরের মাঝে বার্ধক্য প্রতিরোধের জিনের চেয়ে জোড়ে দৌড়ে প্রাণ বাঁচানোর জিন কালের বিবর্তনে ছরিয়ে পড়তে পারে। আমরা জেনেছি কীভাবে ৪০,০০০ বছরের বিবর্তনের পরিক্রমায় বর্তমানে তিব্বতের প্রায় ৮৭% মানুষ EPAS1 জিনে উপকারী মিউটেশন অর্জন করেছে যা তাদেরকে স্বল্প অক্সিজেনে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে।
উৎস: Michael Sulak et al. (2016) TP53 copy number expansion is associated with the evolution of increased body size and an enhanced DNA damage response in elephants eLife 5:e11994. Creative Commons লাইসেন্সের আওতায় এই গ্রাফটিকে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এখন চিন্তা করুন, আমরা তিব্বতের মানুষগুলোর তুলনায় একেবারে ভিন্ন পরিবেশে ভিন্ন অঞ্চলে বাস করেছি বলে এই মিউটেশনটি আমরা পাইনি। ঠিক তেমনি, যেকোন প্রাণীর দুটি দল বা গোত্র যদি কয়েক মিলিয়ন বছর ধরে ভিন্ন দুটি অঞ্চলে একেবারে ভিন্ন পরিবেশে বসবাস করে তখন যার যার পরিবেশ অনুযায়ী তারা পৃথক উপকারী মিউটেশন সঞ্চয় করতে থাকে। অনেকক্ষেত্রেই কালের পরিক্রমায় ভিন্ন বিবর্তনের পথে হেঁটে তার একে অপরের থেকে এতটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে যে, তাদেরকে দুটি ভিন্ন প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ফলস্বরূপ আমরা প্রকৃতিতে দেখতে পাই খুব কাছাকাছি বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন বিভিন্ন প্রজাতি ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। এমনটাই ঘটেছে এই গ্রাফে প্রদর্শিত এশিয়ান আর আফ্রিকান হাতির জীবনে।
গ্রাফটির নিচের সরলরৈখিক স্কেলে দেখা যাচ্ছে আজকের দিন (০) থেকে প্রায় সাত মিলিয়ন (MYA) বছর আগে এশিয়ান আর আফ্রিকান হাতির পূর্বপুরুষেরা একই প্রজাতির অংশ ছিলো। আজকের দিনে এদের মধ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা অমিল হল দাঁতের দৈর্ঘ্য। এশিয়ান হাতিগুলোর দাঁত তাদের আফ্রিকান মামাতো ভাইদের তুলনায় অনেক ছোট। মনে হতে পারে, দাঁতের দৈর্ঘ্যের সাথে বেঁচে থাকার কী এমন সম্পর্ক আছে যে বিবর্তনের প্রক্রিয়া এশিয়ান হাতিদের দাঁত ছোট হয়ে গেল? এখানেই রয়েছে এই ধরণীর নিরীহ পশুপাখিগুলোর প্রতি মানবজাতির অবাধ বর্বরতার এক হৃদয়বিদারক উদাহরণ। হাজার বছর ধরে এশিয়াবাসী নানা মানবসম্প্রদায় হাতির দাঁত থেকে মহামূল্যবান আইভোরি সংগ্রহ করে এসেছে। হাতির দাঁত যত বড় হবে তত বেশী আইভরি পাওয়া যাবে, এই নীতিতে বড় দাঁতের হাতিগুলোকে মানুষ যুগের পর যুগ মেরে ফেলেছে। এই নৃশংসতার উৎসবে সেই হাতিগুলোই বেঁচে গিয়েছিল যাদের দাঁত ছোট। সুতরাং ছোট দাঁত এশিয়ান হাতিদের জন্য উপকারী বৈশিষ্ট্য হয়ে গেল। দেখা গেল, যে মিউটেশনের কারণে হাতির দাঁত ছোট হয় সেটা তাদের জন্য উপকারী মিউটেশন। কালের বিবর্তনে আজ এশিয়ান সব হাতিদের দাঁত ছোট। শ্রীলংকাতে একেবারে দাঁতশূন্য হাতির দেখাও মিলবে। মানুষ কীভাবে প্রকৃতির বিবর্তনকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করতে পারে এটি তার সামান্য নিদর্শন মাত্র। আফ্রিকান হাতিগুলো মানুষের লোকালয় থেকে দূরে বনের গহীনে থাকায় তারা লম্বা দাঁত নিয়ে বেঁচে রয়েছে। এরকম হাজারো কারণে একটু একটু পরিবর্তিত হয়ে এশিয়ান এবং আফ্রিকান হাতি ৭ মিলিয়ন বছরের বিবর্তনে আজ দুটো প্রজাতিতে পরিণত হয়েছে।
এই গ্রাফ থেকে আমরা আরো বলতে পারি, মাত্র ৬ মিলিয়ন বছর আগে এশিয়ান হাতি এবং ম্যামথ একই প্রজাতির অংশ ছিলো। অর্থাৎ বিবর্তনের বিচারে, ম্যামথ আফ্রিকান হাতির তুলনায় এশিয়ান হাতিগুলোর অপেক্ষাকৃত নিকটাত্মীয়। বিবর্তনের বৃক্ষে আরো একটু পেছনে গেলে দেখা যাবে প্রায় ৬০ মিলিয়ন বছর আগে এশিয়ান ও আফ্রিকান হাতি, ম্যামথ ও ম্যানাটিরা সবাই একই প্রজাতির অংশ ছিলো।
হাতির ক্যান্সারবিহীন জীবনের রহস্য
এবার বিজ্ঞানী লিঞ্চের প্রবন্ধে প্রকাশিত ছবিটির ডানদিকের গ্রাফে নজর দেয়া যাক। এই অংশটুকুতে ওপরে আলোচিত প্রজাতিগুলোর ডিএনএ-তে পি৫৩ জিনের কপির সংখ্যা প্রদর্শন করছে (ডানদিকে নিচের সরলরৈখিক স্কেলে)। একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, ৬০ মিলিয়ন বছর আগে হাতির মেলায়-হারিয়ে-যাওয়া-ভাই ম্যানাটির ডিএনএ-তে মাত্র দু’কপি পি৫৩ জিন ছিল। অন্যদিকে আফ্রিকান হাতির ডিএনএ-তে পি৫৩’র কপি রয়েছে ২০টি! আফ্রিকান হাতির নিকটাত্মীয়দের শরীরে ১৫ থেকে ১৮ কপি পি৫৩ জিন থাকে। সুতরাং, বলা হয় প্রায় ৭ মিলিয়ন বছর আগে হাতির পূর্বপুরুষদের প্রাকৃতিক পরিবেশে এমন কিছু একটা ঘটেছে (যা আমরা এখনো জানতে পারি নাই) যাতে করে মিলিয়ন বছরের বিবর্তনে হাতি এবং ম্যমথরা সবাই বেশি বেশি পি৫৩ জিনের কপি অর্জন করতে পেরেছেন। ফলশ্রুতিতে আজকের দিনে আমরা হাতির কোন ক্যান্সার দেখতে পারছি না। সুতরাং, বিবর্তন আমাদেরকে বলে দিচ্ছে, পি৫৩ প্রোটিনের আধিক্য আমাদেরকে ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা দিতে পারবে।
ভালো কথা, কিন্তু আমাদের কি আসে যায়?
মানুষের দেহে যত প্রকার ক্যান্সার হয়, তার প্রায় ৫০% ক্যান্সারেই পি৫৩ প্রোটিনের রেসিপি-তে গোলমাল (মিউটেশন) পাওয়া যায়। এই মিউটেশনের ফলে পি৫৩ প্রোটিনটি ক্যান্সার কোষের অযাচিত বিভাজনকে বাঁধা দিতে পারে না এবং এই অনিয়ন্ত্রিত বিভাজনের মাধ্যমে ক্যান্সার তৈরি হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় আমরা অনেকদিন ধরেই নষ্ট পি৫৩ ঠিক করার ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টা করে যাচ্ছি। ফিনাইল আইসোথায়োসায়ানেট ও আর্সেনিক ট্রাই অক্সাইড নামক দুটি ওষুধ বর্তমানে ড্রাগ টায়ালে রয়েছে যারা মিউটেশনের ফলে অকেজো পি৫৩ কে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। অন্যদিকে ট্রায়ালে থাকা এটোরভাসটাটিন ও ভোরিনোস্টেট নামক ওষুধগুলো অকেজো পি৫৩ প্রোটিনগুলোকে ধ্বংস করে ফেলতে পারে, যেন সুস্থ সক্ষম পি৫৩ প্রোটিনগুলো কোষবিভাজন নিয়ন্ত্রণে কিছুটা হলেও কাজ করার সুযোগ পায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধে পি৫৩ প্রোটিনের গুরুত্ব বোঝার সাথে সাথেই চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা এই প্রোটিনটি সংশোধনের মাধ্যমে ক্যান্সারের প্রতিকার আবিষ্কারে নিমগ্ন হয়ে উঠেছে। হতে পারে, আগামী ১০ বছরেই এই ওষুধগুলো আমরা ব্যবহার করব। হয়তো ৩০ বছরের মাঝে আমরা এমন ওষুধ তৈরি করবো যা সুস্থ মানুষের দেহে প্রয়োগ করার মাধ্যমে ক্যান্সার হবার আগেই তা বন্ধ করতে পারবে। যেমনটা এখন প্রাকৃতিকভাবেই বিবর্তনের কারণে ঘটে হাতির শরীরে। আর সেটা হবে বিবর্তনের গবেষণা থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান দিয়ে আবিষ্কৃত ক্যান্সারের প্রতিরোধক!
আগামী অধ্যায়ে আমরা পানিতে ডুব দিবো এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণীটির ক্যান্সারবিহীন জীবনের কথা আলোচনা করবো। হ্যাঁ, ঠিকই ধরতে পেরেছেন। আমাদের আগামী অধ্যায়টিতে আসছে তিমির গল্প।
———————————————————————————
সূচিপত্র:
- পূর্বকথা
- আমাদের আয়ুষ্কালের ইতিহাস
- বুড়ো জীবনের যতো সমস্যা
- প্রকৃতির মাঝে অমরত্বের সন্ধান
- মরুভূমির অমর প্রাণী
- ঐরাবতের বিবর্তনে বাজিমাত
- দু’শো বছরের তারুণ্য
- ধীর গতির সেঞ্চুরিয়ান
- নর্দমার ফিনিক্স
- শেষকথা
———————————————————————————
ই-বইটি পড়ে ভালো লেগে থাকলে লেখক ও প্রকাশকের কথা চিন্তা করে অনুগ্রহপূর্বক বইটির কপি সংগ্রহ করুন এই লিংক থেকে: রকমারি.কম