ধীর গতির সেঞ্চুরিয়ান
Apr 26, 2025 | 86
২০২২ সালের মে মাস। আমার পিএইচডি গবেষণা তখন প্রায় শেষের দিকে। ধোঁয়াটে মেঘলা আকাশ আর হিরহিরে ঠাণ্ডা বাতাসের যুক্তরাজ্যে বছরে মাত্র চার মাসের জন্য ভালভাবে রোদ ওঠে। সে রোদের আলো মুখে লাগিয়ে অক্সফোর্ডের শতবর্ষী সব লাইব্রেরী কিংবা কফিশপে বসে তখন আমি থিসিস লেখা শেষ করছি। হঠাৎ শুনলাম এক বন্ধু তার থিসিসের গবেষণার জন্য আফ্রিকার নাম-না-জানা এক ছোট্ট দেশে যাচ্ছে। ভারত মহাসাগরের বুকে শতাধিক ক্ষুদ্র দ্বীপ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে সেদেশ; নাম তার সেশেলস্। অথচ মানচিত্রের বুকে এদেশটিকে দেখাই যায় না।
সেশেলস্-এর অবস্থান মাদাগাস্কারের ঠিক ওপরে, গভীর নীল পানির মাঝে। পূর্ব আফ্রিকার মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় হাজার কিলোমিটার দূরে ভারত মহাসাগরের গহীন জলে ভেসে থাকা আফ্রিকার একমাত্র উন্নত রাষ্ট্র এই সেশেলস্। দেশটা দেখতে অনেকটা মালদ্বীপের মতো; এর সমুদ্রের পাড় জুড়ে রয়েছে অসংখ্য আলিশান বাংলো। পর্যটনের জন্য ইউরোপীয়দের মাঝে দেশটি তাই তুমুল জনপ্রিয়। ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে অসংখ্য বিশ্বখ্যাত তারকাদেরও অহরহ দেখা যায় এখানে। সাদা মুক্তার মত সৈকতে কাঁচের মত স্বচ্ছ পানিতে গা এলিয়ে নিরিবিলি অবকাশ জাপনের জন্য তাদের পছন্দের তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছে এই দ্বীপরাষ্ট্রটি। সেশেলস নামের এই দেশটির ছবি তাই গুগলে একঝলক দেখলেই প্রেমে পড়ে যাবে যে কেউ।
আমার বন্ধু সেশেলস্-এ যাচ্ছে গবেষণা করতে। তার সুবাদে আমিও সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা সম্পর্কে ভালোএকটা ধারণা পেয়ে গেলাম। শতবছর ধরে ছোট্ট দ্বীপে আবদ্ধ জনজীবনের এক বিশেষত্ব হচ্ছে খুব অল্প জনসংখ্যার মধ্যেই ঘুরে ফিরে তাদের বিয়ে হয়। এতে করে কোষে যে মিউটেশনের কারণে ক্যান্সার তৈরি হয় সেগুলো বংশ পরম্পরায় তাদের মাঝে জমা হতে থাকে। ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাছাড়া দ্বীপের মাটিতে সীমিত চাষাবাসের সুযোগ থাকায় এখানকার বাসিন্দাদের অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এসকল বিভিন্ন কারণে সেশেলস-এ বৃহদান্ত্রের ক্যান্সারের মাত্রা খুব বেশী থাকায় তা নিয়ে গবেষণা করতে যাচ্ছে আমার বন্ধু। তখন আমিও ক্যান্সারের ওপর ছোট একটি গবেষণা করার সুযোগ তৈরি করে চলে গেলাম দেশটিতে। থিসিস লেখা শেষ করেই বিলেত থেকে উড়াল দিয়ে ভারত মহাসাগরের বুকে গিয়ে নামলাম।
রৌদ্রজ্জ্বল এক সকালে সেশেলস্-এর রাজধানী মাহি আইল্যান্ডের রাস্তা ধরে হাঁটতে গিয়ে হঠাৎ চোখ পড়ল তাদের বোটানিকাল গার্ডেনে। শতরকমের গাছে-ঘেরা এই উদ্যানের সদরদরজায় বেশ দামী একটা টিকেট কেটে ঢুকে পড়লাম দেশটির অন্যতম পর্যটন আকর্ষণটিতে। উদ্যানটির শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়াতেই দু’চোখ আমার কপাল পর্যন্ত প্রসারিত হয়ে গেল! আমার মাত্র এক হাত দূরে ঘুরে বেড়াচ্ছে শ’খানেক বৃহদাকার কচ্ছপ। আমি হাঁটু গেড়ে বসলে তারা আমার মাথার চেয়ে উঁচু, দৈর্ঘ্যে আমার অর্ধেক; ওজনে একেকটি প্রায় ২৫০ কেজি। পরম আদরে তাদেরকে পাতা খাওয়াতে গিয়ে পাশের নামফলকে লেখা জীবনবৃত্তান্ত পড়ে জানতে পারলাম, এদের গড় আয়ুষ্কাল প্রায় ১০০ বছর! দীর্ঘায়ুর ওপর পিএইচডি শেষ করা এই আমি সেখানেই লাফিয়ে ওঠলাম। একটু খোঁজ করতেই জেনে গেলাম, সেশেলস্ এর আল্ডাব্রা অঞ্চলে প্রায় লাখ খানেক বৃহৎ কচ্ছপের বসবাস, যার একটা ক্ষুদ্র অংশ এই বোটানিক্যাল গার্ডেনে বাস করে। পৃথিবীতে বৃহদাকার কচ্ছপের মাত্র দুটি প্রজাতি এখনো বেঁচে আছে; আর আমি দাঁড়িয়ে আছি তাদের সবচেয়ে বড় আবাস্থলে! এখানে বলে রাখা ভালো যে, সেশেলস্-এর জনসংখ্যা এক লাখের মত। অর্থাৎ, এই রাষ্ট্রে মানুষের তুলনায় অধিক সংখ্যক বৃহদাকার কচ্ছপ বাস করছে।
সেদিন বোটানিকাল গার্ডেন থেকে বের হয়ে আমি আমার গবেষণার কাজের ফাঁকে এই কচ্ছপদের উপর বিস্তারিত পড়াশোনা শুরু করি। অতি সম্প্রতি, ২০১৯ সালে স্পেনের বিজ্ঞানী কার্লোসের দল এই আল্ডাব্রা কচ্ছপের ডিএনএ-র পূর্ণ রেসিপি প্রকাশ করেছেন। তাদের গবেষণার ওপর ভিত্তি করে এই কচ্ছপদের শতায়ুর পেছনকার বেশ কিছু কারণ আজ আমরা জানতে পেরেছি। ডিএনএ-র প্রাথমিক পর্যালোচনায় পাওয়া গেলো, গ্যাপডিএইচ নামক একটি প্রোটিন তৈরির জিন কচ্ছপের ডিএনএ-তে মানুষের তুলনায় দ্বিগুণ পরিমাণে রয়েছে। গ্যাপডিএইচ-এর কাজ হলো গ্লুকোজ ভেঙ্গে কোষের ভেতর শক্তি সৃষ্টি করা। প্রাণরসায়নের বৈজ্ঞানিক ভাষায় এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় গ্লাইকোলাইসিস তথা গ্লুকোজ অণুর ভাঙ্গন। গ্লুকোজ অণুর রাসায়নিক বন্ধনে শক্তি সঞ্চিত থাকে। গ্যাপডিএইড এই বন্ধন ভেঙ্গে শক্তি উৎপাদন করে। কোষের ভেতরে যদি গ্লুকোজ ভেঙ্গে শেষ হয়ে যায় তখন বেশ কিছু হরমোনের তত্ত্বাবধানে রক্ত থেকে নতুন নতুন গ্লুকোজকে কোষের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়। তাই গ্যাপডিএইচ ভালোভাবে কাজ করতে থাকলে রক্তের গ্লুকোজ সুন্দরভাবে কোষের ভেতরে প্রবেশ করতে থাকবে। আর কখনো যদি এই প্রক্রিয়াটি বাধাগ্রস্থ হয় তখন কিন্তু রক্তের গ্লুকোজ রক্তেই থেকে যাবে এবং রক্তে তখন গ্লুকোজের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে শুরু করবে। আমি নিশ্চিত আপনারা সবাই ইতোমধ্যেই বুঝতে পারছেন আমি কোন রোগটির কথা বলতে যাচ্ছি।
ডায়াবেটিস
সকালবেলা বাংলাদেশের যেকোন পার্কে গেলে দেখা যায় মাঝবয়সী একদল মানুষ একসাথে দাঁড়িয়ে ব্যায়াম করছে। ব্যায়াম শেষে হয়ত কেউ কেউ পার্কের গেটে বসে থাকা ফেরিওয়ালার কাছে ব্লাডসুগারটাও একটু মেপে নেন। কোনদিন সুগার তথা গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে গেলেই তারা মুখভার নিয়ে বাসায় যান, খাওয়া-দাওয়ার উপর নিয়ন্ত্রণটা খানিক সময়ের জন্য বাড়িয়ে দেন। চিনির বদলে জিরোক্যাল নামক মিষ্টি ব্যবহার করেন; দাওয়াতে গেলে মিষ্টির দিকে না-সূচক মাথা নাড়েন, দৈনিক হাঁটার পরিমাণ একটু বেশী বাড়িয়ে দেন। এর পরেও যদি ব্লাডসুগারটা না কমে, তবে ডাক্তার তাদেরকে ওষুধ খেতে বলেন, কিংবা ইনসুলিন নামক হরমোন ইনজেকশন নিতে বলেন। এই হরমোনের কাজ হলো রক্তের সুগার তথা গ্লুকোজকে কোষের ভেতরে ঢুকানো যা ব্যবহার করে আমাদের কোষগুলো দৈনন্দিন কাজের শক্তি উৎপাদন করবে। এই প্রক্রিয়াটা যখন কোন কারণে ব্যাহত হয়, তখনই ডায়াবেটিসের সূচনা ঘটে।
রক্তে গ্লুকোজ বাড়লে সমস্যা কোথায়?
রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যাবার ফলে একদিকে যেমন ঘন ঘন মূত্রচাপ অনুভূত হয়, অপরদিকে ধীরে ধীরে চোখে ছানি পড়তে শুরু করে এবং দৃষ্টি শক্তি হ্রাস পায়। হাতপায়ের বেশ কিছু স্নায়ু অতিরিক্ত গ্লুকোজের উপস্থিতিতে চিরদিনের জন্য কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে, যা শুরুতে রোগীর কাছে ঝিমঝিম ভাব হিসেবে অনুভূত হয়। কখনো আবার রোগীর পায়ে ঘন ঘন ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটতে থাকে। একবার ইনফেকশন হলে সহজে তা সারানো সম্ভব হয় না। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থেকে গুরুতর অবস্থায় দেহে পানির স্বল্পতা এবং অধিক ব্লাডসুগারের ফলে রোগী কোমায় পর্যন্ত চলে যেতে পারেন। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে, রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
এখন ফেরত যাওয়া যাক আবার কচ্ছপের গল্পে। যেহেতু তাদের দেহে গ্যাপডিএইচ জিনটির অধিকতর কপি রয়েছে, সেহেতু তারা কোষের মাঝে বেশ দ্রুত গ্লুকোজ ভেঙ্গে ফেলতে পারে। কোষের ভেতরকার গ্লুকোজ শেষ হয়ে গেলে ইনসুলিনের প্রভাবে রক্ত থেকে নতুন গ্লুকোজ অণু কোষে প্রবেশ করাবে। এর ফলশ্রুতিতে কচ্ছপের রক্তে সুগারের পরিমাণ থাকবে নিয়ন্ত্রণে। এই বৃহৎ কচ্ছপেরা তাদের দীর্ঘজীবন জুড়ে তাই ডায়াবেটিসের হাত থেকে মুক্ত থাকবে। এখন আপনাদের মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগতে শুরু করেছে, এই কচ্ছপদের ১০০ বছরের জীবনে ক্যান্সারের প্রকোপ কেমন?
কচ্ছপের ক্যান্সার
পিটো’স প্যারাডক্স অনুসারে আপনারা হয়ত অনুমান করতে পারছেন, এই বইতে আলোচিত অন্যান্য দীর্ঘজীবী প্রাণীর মতো আল্ডাব্রা কচ্ছপদেরও ক্যান্সার হয় না। আমাদের স্প্যানিশ বিজ্ঞানীদের দল এর পেছনকার কারণও বর্ণণা করেছেন। উত্তরটা আমাদের আগের অধ্যায়ে আলোচিত বো-হেড তিমির মতোই। কচ্ছপের দেহের ‘ডিএনএ মেরামত প্রকল্প’ অন্যান্য ক্ষীণজীবী প্রাণীর তুলনায় অধিক সক্রিয়। এই প্রকল্পের সফলতার পেছনে মূলত দুটি প্রোটিন কচ্ছপের দেহে প্রধান ভূমিকা পালন করে— NEIL1 (নিল১) and RMI2 (রিমি২)। এই প্রোটিন দুটো তৈরির রেসিপি কচ্ছপের ডিএনএ-তে দুই কপি করে থাকে (অন্যান্য প্রাণীতে থাকে মাত্র ১ কপি)। যেহেতু একটির বদলে দুটি প্রোটিন ডিএনএ মেরামত প্রকল্পে কাজ করে, সেহেতু তাদের পক্ষে ডিএনএ-র যেকোন ক্ষত মেরামত করা অপেক্ষাকৃত সহজ হবার কথা।
এই অনুমানটি ল্যাবের ভেতরে প্রমাণ করার জন্য বিজ্ঞানী কার্লোসের দল এক্কেবারে উঠে পড়ে লাগলেন। তারা প্রথমে কচ্ছপের কোষ থেকে নিল১ এবং রিমি২ প্রোটিন তৈরির রেসিপিটা আলাদা করলেন। তারপর সেই রেসিপিটাকে মানুষের কোষের মধ্যে ঢুকিয়ে দিলেন। এই কাজটা করার জন্য কচ্ছপের কোষ থেকে আলাদা করা ডিএনএ-টি মানুষের কোষের সাথে একটি তরল দ্রবণে রেখে কিছুক্ষণ পর পর ইলেকট্রিক শক দেয়া হয়। এর ফলে, মানুষের কোষের চারদিকে অবস্থিত পর্দাটির বিভিন্ন স্থানে অল্প সময়ের জন্য ছোট ছোট ছিদ্র সৃষ্টি হয় যার মধ্য দিয়ে কচ্ছপের ডিএনএ-টি মানুষের কোষে প্রবেশ করে। তারপর কচ্ছপের সেই ডিএনএ থেকে মানুষের কোষের ভেতরেই কচ্ছপের নিল১ এবং রিমি২ প্রোটিন তৈরি শুরু হবে। এই প্রক্রিয়াটিকেই বলা হয় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।
মানবকোষে কচ্ছপের নিল১ এবং রিমি২ প্রোটিনের রেসিপির অনেকগুলো কপি ঢুকিয়ে দেবার পর বিজ্ঞানী কার্লোসের দল তাদের ডিএনএ মেরামত করার ক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখলেন। এই উদ্দেশ্যে তারা একগুচ্ছ স্বাভাবিক মানবকোষ এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং দিয়ে তৈরি কচ্ছপের ডিএনএ সম্বলিত মানবকোষ পাশাপাশি রেখে তাতে আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি এবং হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড প্রয়োগ করলেন। আমরা আগের অধ্যায়ে জেনেছি, আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি এবং হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড উভয়েই ডিএনএ-তে নানা রকম ক্ষত তৈরি করে। বিজ্ঞানী কার্লোসের দল অবাক হয়ে লক্ষ্য করলেন, সাধারণ মানবকোষগুলোতে প্রচুর মিউটেশন বা ক্ষত তৈরি হলেও কচ্ছপের নিল১ এবং রিমি২ প্রোটিন তৈরিতে সক্ষম মানবকোষগুলোর ডিএনএ-তে ক্ষত তৈরি হয়েছে নগণ্য পরিমাণে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, ডিএনএ-তে নিল১ এবং রিমি২ প্রোটিন তৈরির কারণেই বৃহদাকার আল্ডাব্রা কচ্ছপ ক্যান্সারকে ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকে। এর চেয়ে খুশির সংবাদ হল, কচ্ছপের এই প্রোটিনগুলোকে মানবকোষে উৎপাদন করে আমাদের ক্যান্সারও কমিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে।
ছোটবেলায় দেখা আমার খুব পছন্দের একটি সিনেমা কুং-ফু-পান্ডা। সে সিনেমায় এক বিজ্ঞজনের ভূমিকায় ছিল মাস্টার ওগুওয়ে নামের একটি কচ্ছপ। যেহেতু কচ্ছপ শত বছর ধরে বাঁচে, তাই আমাদের সংস্কৃতিতে প্রায়ই তাদেরকে বয়োজেষ্ঠ্য কিংবা জ্ঞানীর আসনে বসানো হয়। ঠিক এমনটাই ঘটেছে চাটগাঁ’র বায়োজিদ বোস্তামীর মাজারের কচ্ছপদের ক্ষেত্রেও।
কচ্ছপের দীর্ঘ জীবনের রহস্য আলোচনার পর আগামী অধ্যায়ে আমরা আলোচনা করবো কচ্ছপের বৈবর্তনিক আত্মীয় কুমির নিয়ে। খান জাহান আলীর মাজারের কুমির যে কয়েক’শ বছর ধরে বেঁচে আছে তা কিন্তু আমাদের সবারই জানা। কিন্তু, কীভাবে? উত্তরটা জানতে এবার পৃষ্ঠাটি উল্টানো যাক।
———————————————————————————
সূচিপত্র:
- পূর্বকথা
- আমাদের আয়ুষ্কালের ইতিহাস
- বুড়ো জীবনের যতো সমস্যা
- প্রকৃতির মাঝে অমরত্বের সন্ধান
- মরুভূমির অমর প্রাণী
- ঐরাবতের বিবর্তনে বাজিমাত
- দু’শো বছরের তারুণ্য
- ধীর গতির সেঞ্চুরিয়ান
- নর্দমার ফিনিক্স
- শেষকথা
———————————————————————————
ই-বইটি পড়ে ভালো লেগে থাকলে লেখক ও প্রকাশকের কথা চিন্তা করে অনুগ্রহপূর্বক বইটির কপি সংগ্রহ করুন এই লিংক থেকে: রকমারি.কম