Abandophobism
Apr 16, 2018 | 5355
A.ban.do.pho.bi.sm (noun) | əˈband(ə)ˈfəʊbɪz(ə)m
Definition:
the fear of being rejected by someone
মেঘের মাথায়
যেন আকাশ
ভেঙ্গে পড়লো।
প্রায় ছয়
বছর হতে
চলা সম্পর্কটা
মুহুর্তেই দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।
শুভ্র কিছুক্ষণ
আগে ফোন
করে বললো,
“আমাকে দিয়ে
আর হচ্ছে
না। সকল
দোষ আমার।
আমাকে কখনোই
ক্ষমা করো
না।”
মেঘ ক্ষমা
কীভাবে করবে?
শুভ্রের উপর
মেঘের বিশাল
অভিমান। কৈশোর
থেকে যৌবনে
পদার্পনের প্রাক্কালে
মেঘের সাথে
শুভ্রের পরিচয়।
সেই পরিচয়
থেকে প্রণয়;
হয়তো মেঘ
চাইতো কোন
একদিন তা
হবে পরিণয়।
গত ছয়টা
বছর ধরে
মেঘ যেন
অনেকটা শুভ্রকেই
আকঁড়ে ধরে
বেচেঁ ছিলো।
সেই শুভ্র
আজ চলে
গেছে। রেখে
গেছে অনেক
বন্ধুত্ব, অনেক
হাসি, অনেক
ঝগড়া আর
অনেক কান্না-ভরা স্মৃতি।
মেঘের এখন
আর কিছুই
ভালো লাগে
না। পড়াশোনাটাকে
একটা বোঝা
মনে হয়;
বন্ধুদের সাথে
ঘুরতে যেতে
ইচ্ছে করে
না। আনন্দ-উৎসব-বিয়ে বাড়ির
সানাই মেঘের
কাছে লাগে
এক অসহ্য যন্ত্রণা। মেঘের
ভালো লাগে
কাদঁতে। মাঝরাতে
যখন সবাই
ঘুমিয়ে পড়ে,
তখন মেঘের
মনের ভেতরের
শুভ্রটা জেগে
ওঠে। শুভ্রটা
দিনকে দিন
আরো আকর্ষণীয়
হয়ে উঠছে।
শুভ্রের কথাগুলো
মেঘের কাছে
এখন আরো
বেশী ভালো
লাগে। শুভ্রকে
কেন যেন
এখন একটু
বেশীই ভালো
বন্ধু বলে
মনে হয়।
রাত ৩টা
বেজে ১৫
মিনিট। মেঘ
হঠাৎ বুঝতে
পারে, এই
শুভ্রটা তার
মনের কল্পনা।
আসল শুভ্রটা
তো তাকে
ফেলে দিয়ে
চলেই গেছে।
মুহুর্তেই মেঘের
বুক চিঁড়ে
ফেটে পড়ে
বৃষ্টি, অঝোড়
বৃষ্টি। কাদঁতে
কাদঁতে একসময়
চোখের পানি
ফুরিয়ে যায়,
শ্বাস বন্ধ
হয়ে আসে।
মেঘ চিন্তা
করতে থাকে
হয়তো এর
থেকে মৃত্যুও ভালো।
মেঘ বিছানার
এপাশ থেকে
ওপাশ ফিরে।
কোল বালিশটাকে
জাপটে ধরে;
মুহুর্তেই সেটাকে
আবার ঠেলে
দূরে সরিয়ে
দেয়। নাহ!
মেঘের চোখে
ঘুম আসে
না। কিছুক্ষণ
সে বারান্দায়
বসে থাকে।
কিছুক্ষণ শুয়ে
থাকে রুমের
মেঝেতে। প্রচন্ড
শীতের রাতে
মেঘ ঘামতে
থাকে, আর
মেঘের চোখে
তখন চলে
বর্ষাকাল।
দিন যায়,
রাত আসে।
একেকটা রাতকে
যেন বছর
বলে মনে
হয়। প্রতিটা
সকাল মেঘের
জন্য
যেন এক
মহাকালের পরিশেষ!
বন্ধুদের সবাই
মেঘকে বোঝাতে
চেষ্টা করে,
“দোস্ত, প্রেম-ভালোবাসায় কষ্ট
আসতেই পারে।
মুভ অন।
সময়ের সাথে
সবই ঠিক
হয়ে যাবে।” মেঘও
চোখ বন্ধ
করে সেই
কথাগুলোকে বিশ্বাস
করতে চায়।
সময় হয়তো
সবই ঠিক
করে দিবে।
মেঘ বাসায়
ফিরে আসে
শান্ত মনে।
বাথরুমে শাওয়ারটা
ছেড়ে দিয়ে
চোখ বন্ধ
করে খুজঁতে
থাকে সেই
“মুভ অন” সুইচটা।
কোথায় সেই
অপশন? সে
কেনো সেটা
খুজেঁ পাচ্ছে
না? সবাই
তো বলে,
সময়ের সাথে
এই কষ্টটা
সয়ে যাবে।
কিন্তু, মেঘের
ব্যথাটা
দিনকে দিন
বরং বেড়েই
চলেছে। একসময়
মেঘ বুঝতে
পারে নিজের
চোখের জলেই
তার গোসল
হচ্ছে। অন্ধকার
একটা বাক্সের
ভেতরে শুভ্র
মেঘকে তালা
দিয়ে কোথায়
যেন চলে
গেছে।
মেঘ ভার্সিটি
যায়। ক্লাসের
অনেকেই ওর
ভক্ত। মেঘ
অনেক সুন্দর
ছবি আকেঁ।
তার ছেলে
বন্ধুরা সবাই
মেঘ বলতে
পাগল। এই
পাগলদের দলে
সাদমান একটু
বেশীই আপন।
মেঘের ভাঙ্গা
হৃদয়ের ছোট
টুকরো গুলো
কুড়িয়ে এনে
সাদমান চায়
তা জোড়া
দিতে। মেঘও
বুঝতে পারে
ছেলেটা তাকে
অনেক ভালোবাসে।
ছেলে হিসেবে
সাদমান অনেক
ভালো। বন্ধু
হিসেবেও অসাধারণ।
সাদমানের সাথে
সম্পর্ক হলে
সেটা কোন
দিক থেকেই
মন্দ হবে
না। কিন্তু,
মেঘের হৃদয়
তখন এই
সকল যুক্তিবাদী
চিন্তার ধার
ধারে না।
সাদমানকে দেখলে
তার ভেতরে
একটা কথাই
বেজে উঠে,
“ও তো
শুভ্র নয়।”
দিনের পর
দিন যায়,
একসময় তা
মাসে পরিণত
হয়। বারো
মাসে এক
বছর। এক,
দুই, তিন… বছর
পার হয়ে
গেছে। মেঘের
চোখের ঘুম
আজো নেই।
সাদমান চলে
গেছে, কিছুদিন
তার বন্ধুত্ব
ছিলো রামিম,
তওফিক আর
সাকিবের সাথে।
তারাও এখন
নেই। মেঘের
ভেতরে এখনো
আছে সেই
শুভ্র। সেকেন্ডের
কাঁটা এখন
বছর হয়ে
ঘুরছে; ‘মুভ
অন’
সুইচটারই কেবল
দেখা মিললো
না। মেঘ
বুঝতে পারে,
এই কারাগার
থেকে হয়তো
তার মুক্তি
নেই। সে
যেন এই
বন্দিদশাকেই ভালোবাসতে
শুরু করেছে।
যদি মেঘের
সাথে আপনি
নিজের জীবনের
মিল খুজেঁ
পান তাহলে
হয়তো আপনিও
Abandophobism এ ভুগছেন।
এক শুভ্রের
আঘাতে মেঘের
মনে এমন
এক অবস্থার
সৃষ্টি হয়
যে, ভবিষ্যতের যে কোন
সম্পর্ককেই মেঘ
এড়িয়ে চলতে
চায়। কারণ
একটাই। মেঘ
চায় না
আর কোনদিন
কেউ তাকে
এভাবে ফেলে
রেখে চলে
যাক। যে
কষ্ট শুভ্র
মেঘকে দিয়ে
গেছে সেটা
সারাজীবনে মেঘ
আর অন্য কারো কাছ
থেকে আর
পেতে চায়
না।
মেঘের মস্তিষ্কের
ভেতরে Amygdala নামের একটা জায়গা
আছে। এটা
হলো মেঘের
ইমোশনের কেন্দ্রবিন্দু।
আদর, ভালোবাসা,
ঘৃণার সৃষ্টি
হয় সেই
Amygdala-র ভিতরের
বিক্রিয়ার কারণে।
কিন্তু, মেঘ
আদর-ভালোবাসা
থেকে মাসের
পর মাস
বঞ্চিত। তার
হরমোন গুলো
শুধুমাত্র কেবল
ব্যথার
সংবেদনই সৃষ্টি
করেছে।
মানবদেহের স্নায়ুকোষ
তথা নিউরোনগুলোকে
বার বার
উত্তেজিত করা
হলে একসময়
সেগুলো বেশ
শিথিল হয়ে
যায়। ধরুন,
আপনাকে একের
পর এক
বেত দিয়ে
পেটানো হলে
আস্তে আস্তে
একসময় আপনার
আর ব্যথা লাগবে না।
কারণ, আমাদের
শরীরের নিউরো-ট্রান্সমিটারগুলো একসময়
ফুরিয়ে যায়।
একই ভাবে,
মেঘ যখন
রাতের পর
রাত শুভ্রের
শোকে বৃষ্টি
হয়ে ঝড়েছে
তখন একসময়
তার Amygdala-তে সংবেদনশীলতার পরিবর্তন
আসতে শুরু
করে। যেই
Amygdala-র কখনো
হাসি, কখনো
ভালোবাসা এবং
কখনো ঘৃণার
তরঙ্গ প্রবাহিত
করার কথা
সেই Amygdala-টা বছরের পর
বছর শুধু
“শুভ্র-হারানোর-হাহাকার”
সৃষ্টি করতে
করতে ক্লান্ত।
এ অবস্থায়
শুভ্র মেঘের
জন্য
আর মানুষ
থাকে না;
শুভ্র হয়ে
উঠে মহাদেবতা।
Abandophobism thus becomes addictive.
Adandophobics
are also abandoholics.
মেঘ একসময়
ব্যথাটাকে
ভালোবাসতে শিখে
ফেলে। Amygdala-র পরিবর্তনে মেঘের
ইমোশনগুলো আকাশ-পাতাল উল্টে যায়।
Insecurity becomes love, pain becomes pleasure, stability becomes boring. মেঘের কাছে সাদমানের
সহজ প্রেমের
প্রস্তাবটা আর
ভালো লাগে
না। কারণ,
সহজ ভালোবাসার
কেমিক্যালগুলো
মেঘের Amygdala-কে উত্তেজিত করে
না। শুধুমাত্র
সাদমানের সাথে
যদি কখনো
ঝগড়া হয়
তখনই কেবল
মেঘের মাথায়
সাদমানের চিন্তা
আসে। কারণ,
ব্যথার
তরঙ্গটা মেঘের
মস্তিষ্কের সবচেয়ে
পছন্দের খাবার।
মেঘের এখন
শুধু ভালো
লাগে “hard-to-get” সম্পর্ক। এবং
সবচেয়ে বেশী
“hard-to-get” কে?
শুভ্র।
তাই শুভ্রই
মেঘের Amygdala-র রাজপুত্র। শুভ্রের
চিন্তা মেঘের
Amygdala-য় সবচেয়ে
বেশী দুশ্চিন্তার
সৃষ্টি করতে
পারে। আর
এই দুশ্চিন্তাই
হলো এখন
মেঘের Amygdala-র কোকেইন। মেঘ
এখন এডিক্টেড।
মেঘ কষ্টের
প্রতি আসক্ত।
যার ফলে
একের পর
এক সহজ
প্রেমের প্রস্তাবগুলোকে
সে ফিরিয়ে
দেয়। শুভ্রের
কাছ থেকে
পাওয়া কষ্টটাই
সে এখন
বিলিয়ে দেয়
সাদমান, রামিম
কিংবা সাকিবকে।
পরিত্যক্ত
মেঘ হয়ে
ওঠে পরিত্যাগী।
Go
with your guts.
কথাটা মেঘের
বন্ধুরা প্রায়ই
উপদেশ হিসেবে
বলে। মেঘের
কষ্টটা ওরাও
বুঝতে পারে।
কিন্তু, কেন
মেঘ এরকম
আচরণ করছে
তা বন্ধুদের
একেবারেই অজানা।
তাই কারণ
না জেনেই
হুাতুড়ে ডাক্তারের
মতো চিকিৎসা
দিতে গিয়ে
বন্ধু করে
বসে বিশাল
এক ভুল।
“দোস্ত, মুভ
অন কর।দোস্ত,
এগুলো ঝেড়ে
ফেলে দে।
দোস্ত, এই
ছেলেটা তোকে
ভালোবাসে। ওকে
একটা সুযোগ
দে। দোস্ত,
Go with your guts.”
কিন্তু, কি
চায় মেঘের
guts? মেঘের guts চায় আরো কষ্ট
পেতে। তাই,
আপনি যদি
একজন Abandophobic (এবং Abandoholic) হন তাহলে
দয়া করে
নিজের ভেতরের
কথাটাকে সব
সময় বিশ্বাস
না করাটাই
ভালো সিদ্ধান্ত
হবে। কারণ,
বছরের পর
বছর ইমোশোনাল
অত্যাচারে
আমাদের ভেতরের
সত্ত্বাটা প্রায়ই
ভুল সিদ্ধান্তটা
নিতে পছন্দ
করে। কারণ,
ভুল থেকে
আসবে কষ্ট।
আর “আমি
কষ্ট পেতে
ভালোবাসি। তাই
শুভ্রের কাছেই
ছুটে আসি।”
তাহলে কি করবে মেঘ? মেঘের কি মুক্তি নেই?
এক সকালে
ঘুম থেকে
উঠেই Abandophobia-কে মেঘ ঝেড়ে
ফেলে দিতে
পারবে না।
মেঘ প্রথম
উপলব্ধি করে
তার সমস্যা হচ্ছে। একজন
সাইকোলজিস্টের শরনাপন্ন
হয় সে।
ডাক্তার তাকে
“abandophobia”-র কথা
বলে। দুইজন
মিলে খুজঁতে
থাকে সেই
সমস্যার গোড়া। মেঘের
বাবা-মা
দুজনেই চাকুরি
করতেন। সারা
দিন ভাই-বোনহীন মেয়েটা
বাসায় একা
একাই বড়
হয়েছে। ছোটবেলা
তার মন
গান গাইতো,
“যদি তোর
ডাক শুনে
কেউ না
আসে, তবে
একলা চলো
রে…”
মনে মনে
সারা জীবনই
বাবা-মার
উপর মেঘের
অনেক রাগ।
কখনো মেঘ
তাদের কাছে
পায়নি। হঠাৎ
শুভ্র যখন
তার পৃথিবীতে
পরিণত হয়
তখন মেঘের
মরুভূমিতে পানি
জমে। কিন্তু,
সেই শুভ্রও
তার বুক
ছিড়েঁ চলে
যাবার পর
“একলা হয়ে
যাবার ভয়”-টা
তাকে পেয়ে
বসে। সেই
ভয়টাকেই মেঘ
পরে ভালোবেসে
ফেলে।
সবকিছু শুনে
মেঘ বুঝতে
পারে তাকে
অবশ্যই
বের হয়ে
আসতে হবে।
যদিও সে
কষ্ট পেতে
ভালোবাসে, তারপরও
তা বন্ধ
করতে হবে।
কারণ, এভাবে
চলতে থাকলে
মেঘ সারাজীবন
একাই থেকে
যাবে। এই
চিন্তা প্রাথমিকভাবে
মেঘের বেশ
ভালোই লাগে।
কিন্তু, বাস্তব
জীবনে যে
সেটা অনেক
কষ্টকর মেঘ
তাও স্বীকার
করে। এই
মেনে নেয়াটাই
হয়ে যায়
মেঘের জীবনের
সবচেয়ে বড়
চিকিৎসা।
ছ’মাস পর
মেঘের পরিচয়
হয় নিলয়ের
সাথে। ছেলেটা
শুভ্র না।
কিন্তু, মেঘ
তাকে ঘেটেঁ
দেখতে চায়।
কিন্তু, বেকেঁ
বসে তার
সেই Amygdala. এই সহজ প্রেম
তার মনে
ধরে না।
কিন্তু, এবার
মেঘ যুদ্ধ
করে বসে
সেই amygdala-র সাথে। কারণ,
তাকে বোঝাতে
না পারলে
মেঘ কখনোই
কাউকে মেনে
নিতে পারবে
না। মেঘ
চেষ্টা করে
যায়।
এরপর বারো
বছর পেরিয়ে
গেছে। মেঘ
এখন বৃষ্টির
মা। নিলয়-মেঘের কোল জুড়ে
এসেছে বৃষ্টির
ঝুমঝুম শব্দ।
গত বারোটা
বছর ধরে
মেঘ নিজের
মনের সাথে
যুদ্ধ করে
নিলয়কে আপন
করতে চেয়েছে।
কাজটা মোটেও
সহজ ছিলো
না। মেঘ
প্রতিনিয়ত নিজের
“gut-feelings” কে উপেক্ষা
করেছে। মনের
কথা শুনলে
কখনোই সে
আর কাউকে
ভালোবাসতে পারতো
না। অনেকটা
জোর করেই
মেঘ নিলয়ে
কাছে টেনে
নিয়েছে। তাদের
সংসারে তাই
এখন বর্ষার
প্রথম বৃষ্টির
আনন্দ।
অনেক সহজ?
নাকি মহা
কঠিন? মেঘ
এখনো তা
জানে না।
সে শুধু
এই ভেবে
খুশি যে,
তার জীবনে
এখন আরো
দুটো মানুষ
আছে। নিলয়
আর বৃষ্টির
সাথে সে
জীবনের দৌড়টায়
সঙ্গী হয়ে
গেছে। মেঘ
এখন হাসতে
পারে। বৃষ্টি
যখন প্রথম
হাটঁতে শিখে
তখন মেঘের
চোখ ভরে
উঠে আনন্দের
অশ্রুতে। তার
amygdala-টা এখন
এটাকেই পছন্দ
করতে শিখে
গেছে। ও
এখন আর
ব্যথা
খুজেঁ না।
একরাতে বৃষ্টিকে
ঘুম পাড়িয়ে
মেঘ এসে
শুয়ে পরে
নিলয়ের পাশে।
মেঘের ঠোটের
ফাকেঁ ছোট্ট
একটা হাসি।
কিন্তু, সেরাতে
তার ঘুম
আসে না।
হঠাৎ চোখ
বন্ধ করতেই
সে দেখতে
পায় শুভ্রকে।
মেঘের মাথায়
আবার আকাশ
ভেঙ্গে পড়ে;
তার দম
বন্ধ হয়ে
আসে। কিন্তু,
হঠাৎ করেই
তার কানে
ভেসে আসে
কান্নার শব্দ।
বিছানা থেকে
উঠে যেয়ে
বৃষ্টিকে কোলে
নিয়ে সে
বারান্দার হাটঁতে
থাকে। মা-মেয়ে দুজনেই বাহিরে
তাকিয়ে দেখে
অঝোড়ে বৃষ্টি
পড়ছে। মেঘ
তার কোলের
বৃষ্টির গালে
একটা আলতো
চুমো দিয়ে
বলে, “দেখো
মা, তুমি
কতো সুন্দর
করে ঝুম
ঝুম গান
গাইতে শিখে
গেছো।”
বৃষ্টি ফিক
ফিক করে
হাসতে থাকে।