ক্যামব্রীজ কথন
Mar 17, 2018 | 14606
ক্যামব্রীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুনেনি এমন মানুষ খুজেঁ পাওয়াটা দুষ্কর। নোবেল পুরষ্কার বিজয়ীদের তালিকায় ক্যামব্রীজ বিজ্ঞানীদের বেশ একচেটিয়া রাজত্ব (আসল রাজা অবশ্যই হার্ভার্ড)। ইংল্যান্ডের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অক্সফোর্ড আর ক্যামব্রীজ (সংক্ষেপে অক্সব্রীজ) খুবই আইকনিক। দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার-আচরণও মোটামুটি একই ধরণের। অক্সফোর্ড আসার পর থেকেই তাই ক্যামব্রীজে যাবার জন্য মন উসখুস করছিলো। অবশেষে সেই সুযোগ মিললো এই বছরের ৮ জানুয়ারি।
ক্যামব্রীজে ক্যান্সার নিয়ে কাজ করেন এমন এক বিজ্ঞানীর সাথে দেখা করতে যাবো। উনি আমার যাওয়া আসার ট্রেনের টিকেটও পাঠিয়ে দিলেন। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, বাস-ট্রেন-বিমানের মধ্যে পশ্চিমা বিশ্বে ট্রেন হলো সবচেয়ে ব্যয়বহুল। মাঝে মধ্যে ১০ পাউন্ডে বিমানে যাওয়া যায়; কিন্তু, ট্রেনে গেলে প্রায়ই ৬০-৭০ পাউন্ড গুনতে হয়! ট্রেনের এই অধিক ভাড়ার কোন কারণ অবশ্য আমি খুজেঁ পাই না।
আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে ৬ তারিখেই ক্যামব্রীজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ার বেশ কিছু সুবিধার মধ্যে একটা হলো বিশ্বের নাম কড়া জায়গায় আমাদের বড় ভাইয়া-আপুরা আছেন। সায়েম ভাইয়া এবং অরিন আপু সেই দলের মানুষ। তারা ক্যামব্রীজেই থাকেন। সেই সূত্রে তাদের বাসায় আমার বিনামূল্যে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাটা হয়ে গেলো।
প্রথমে অক্সফোর্ড ট্রেন স্টেশন থেকে বেলা ১১টার ট্রেনে উঠে লন্ডন প্যাডিংটন স্টেশনে নামলাম। সেখান থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড দিয়ে চলে গেলাম কিংস ক্রস স্টেশনে। আমার ক্যামব্রীজ যাবার ট্রেন, দ্য গ্রেট নর্দান, সেখানে আগে থেকেই দাঁড়িয়ে আছে। কোনমতে দৌড় দিয়ে ট্রেনে উঠার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ট্রেন ছেড়ে দিলো। ইংল্যান্ডের গ্রামের মধ্য দিয়ে চলছে ট্রেন। হঠাৎ দেখি সামনে এক বিশাল স্টেডিয়াম; বেশ চেনা চেনা লাগছে। ভালো করে লক্ষ্য করতেই বুঝলাম এটা গানার্সদের হোম, এমিরেটস। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের দর্শকদের জন্য লন্ডনে ঘুরে বেরানোটা তাই বেশ রোমাঞ্চকর হবে।
প্রায় বেলা ২টা নাগাদ ট্রেন থামলো ক্যামব্রীজ স্টেশনে। বের হতেই আমার পেটের ভিতরের মরুভূমিতে ঝড় উঠলো। সেই ঝড় সামাল দিতে ঢুকলাম Pret a Manger এর দোকানে। অর্ডার করলাম তাদের বিখ্যাত মিটবল র্যাপ (শর্মা)। এতো খিদে লেগেছিলো যে মাত্র দু মিনিটেই খাওয়া শেষ হয়ে গেলো। আমাকে স্টেশন থেকে নিয়ে যেতে অরিন আপুর আসার কথা। উনি আমার এক ব্যাচ সিনিয়র ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর প্রথম দিন এই মহিলা আমাকে ভীষণ র্যাগ দিয়েছিলেন। সেই থেকে বেশ ভালো করেই অরিন আপুকে চিনি।
আপু আসার পর দুইজন বাসে উঠলাম। ইংল্যান্ডের বাসে “ডে-টিকেট” বলে একটা ব্যাপার আছে। জিনিসটা হলো অনেকটা বুফে খেতে যাওয়ার মতো। একবার ডে-টিকেট কাটলে সেটা দিয়ে সারাদিন যতখুশি বাসে চড়া যাবে। প্রথমেই যে জিনিস দেখে একটু অবাক হলাম সেটা হলো বাস-লেন। আমরা লাইনের উপর দিয়ে ট্রেন অথবা ট্রাম যেতে দেখেছি; কিন্তু বাসও যে লাইন ধরে যেতে পারে সেটা জানা ছিলো না। ক্যামব্রীজের বাস লেন বিশ্বের দীর্ঘতম লেন গুলোর একটি। বাসটা রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে হঠাৎ করে সেই লেনের উপর উঠে আটকে গেলো। এরপর ড্রাইভারের আর কিছু করার থাকে না। বাস নিজের মতো করে চলতে থাকলো আপন মনে সবুজ গালিচার মতো ঘাসের উপর দিয়ে। সেই বাসের ভিতর বসে আমি তাজ্জব দৃষ্টিতে ক্যামব্রীজের রূপসুধা পান করছি।
ক্যামব্রীজের পার্কগুলো সুবিশাল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এগুলো কোন না কোন কলেজের (বাংলাদেশের হল) অধীনে থাকে। অরিন আপু আমাকে নিয়ে গেলেন Jesus Green Lido-তে। সুন্দর একটা সরু নদীর পাশে বিশাল মাঠ। মাঝখানে একটা ব্রীজও আছে। আমি বাংলাদেশী হওয়ায় এইসব ছোটখাটো নদী দেখে খুব একটা মন ভরলো না। ক্যামব্রীজের নামকরণও করা হয়েছে “ক্যাম” নদীর উপর ভিত্তি করে। অতীতে এই শহরটা ছিলো তাদের বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোর একটি। এখনো ক্যাম নদীর উপরে নৌকাভ্রমণ (পান্টিং) ক্যামব্রীজের বড় আকর্ষণ।
ঘুরে ফিরে আমরা এরপর গেলাম সায়েম ভাইয়ার ল্যাব- এডেনব্রুকস হসপিটালে। প্রথমে বলে রাখি, হসপিটাল সংক্রান্ত যাবতীয় চিন্তা ভাবনা আমার ইংল্যান্ডে আসার পর বদলে গেছে। এডেনব্রুকস হসপিটালের করিডোর ধরে একমাথা থেকে অন্য মাথায় হেটেঁ যেতে প্রায় ১৪ মিনিটের মতো সময় লাগে। এতোটাই বিশাল তাদের এই হাসপাতাল। সেই করিডোরের দুপাশ ধরে গ্যালারীর মতো আর্ট, কার্টুন, ফটোগ্রাফির নিদর্শন। একটা পর্যায়ে গিয়ে শুরু হয় মেডিকেল সায়েন্সের ঐতিহাসিক নিদর্শনের মিউজিয়াম। আপনি করিডোর দিয়ে হেটেঁ যাবেন আর দুই পাশে দেখবেন মধ্যযুগের ডাক্তারদের ব্যবহৃত সেইসব সার্জারির ছুড়ি-কাচিঁ। ক্যামব্রীজের ইতিহাস অসম্ভব সমৃদ্ধ; সেটা দেখাতেও এরা কম যায় না। এই এক করিডোরে হেঁটে গেলেই মনে হবে অনেক কিছু শিখে ফেলেছি। সায়েম ভাইয়া জানালেন, প্রতি তিনমাসে এই করিডোরের ডিজাইন নাকি পরিবর্তন হয়। হায়রে! আমি ক্যামব্রীজে থাকলে এই হাসপাতালে প্রায়ই ঘুরতে আসতাম।
হালকা কফি-আড্ডার পর আমরা তিনজন ফেরত গেলাম বাসায়। বাংলাদেশ ছেড়ে আসার পর থেকে সারাদিন পাস্তা-বার্গার খেয়ে দিন কাটাচ্ছি। অবশেষে অরিন আপুর বদান্যতায় দেখা মিললো বিরিয়ানীর। হঠাৎ করে অনেকদিন পর ঝাল খেতে কেমন জানি লাগছিলো। বাংলাদেশী খাবারের আনন্দটা ভালোই উপভোগ করছিলাম। ভোজনবিলাস শেষে আমরা তিনজন আড্ডায় আড্ডায় রাত দুটা বাজিয়ে দিলাম যার দোষটা পুরোপুরি পড়লো আমার ঘাড়ে। আমি নাকি বেশী কথা বলি! সেই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করার উপায় নেই। এক কাপ কফি এবং একজন ভালো শ্রোতা হলে আমি গল্প বলে রাত পার করে দিতে পারি।
পরদিন সকালবেলা থেকে শুরু হলো আমার আসল ক্যামব্রীজ ভ্রমণ; মানে ক্যামব্রীজ বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখা। আমি আর অরিন আপু সকাল দশটায় কিংস কলেজের সামনে গিয়ে একটা টুরিস্ট গ্রুপের সাথে যোগ দিলাম। অসম্ভব উষ্কখুষ্ক চুলওয়ালা গ্রেগ নামের এক ক্যামব্রীজ ছাত্র আমাদের গাইড হবেন। গ্রেগের গল্প বলার ক্ষমতাটা অর্জন করা আপাতত এখন আমার জীবনের লক্ষ্য। ছেলেটা এতো সুন্দর করে ক্যামব্রীজের গল্প বলে যে ঘন্টার পর ঘন্টা সেটা শুনতে ইচ্ছা করে। ভবিষ্যতে আমিও কোন একদিন এই পার্ট টাইম চাকুরিটা করতে চাই।
গল্পের শুরু হলো কিংস আর কুইন্স কলেজের ইতিহাস দিয়ে। একটুপর আমরা গিয়ে থামলাম কর্পাস ক্রিস্টি কলেজের অদ্ভূত এক ঘড়ির সামনে। ঘড়িটার নাম “লোকাস”। একটা বিদঘুটেঁ পোকা একটু পরপর নিজের জিহবা বের করে এবং তার চারদিক দিয়ে একটা সবুজ আলো বৃত্তাকার পথে ঘুরে যায়। এই দুই ঘটনা দিয়ে পোকাটা সময় বলে দেয়; তবে প্রতি পনেরো মিনিটে একবার মাত্র সেটা সত্য হয়! গ্রেগের ভাষ্যমতে--
“This is
world’s most expensive watch that does not work.”
সেই ঘড়িটা সামনে রেখে হাতের বামদিকে হেটেঁ যেতেই আমাদের আবার থমকে দাঁড়াতে হলো। চোখের সামনে দেখতে পেলাম সেই বিখ্যাত Eagle Pub. ১৯৫৩ সালের দিকে ওয়াটসন আর ক্রীক নামক দুই ক্যামব্রীজ গবেষক DNA অণুর গঠন আবিষ্কার করার পর এই পাবে ঢুকে চিৎকার করে সেই ঘোষণা দিয়েছিলেন। সাধারণ মানুষজন সেই দুই পাগলের প্রলাপ না বুঝলেও পরে নোবেল প্রাইজ দেখে ঠিকই বুঝতে পারে তারা কি অসাধারণ এক মুহুর্তের সাক্ষী হয়ে গেছে। বিজ্ঞানের ইতিহাস এমনিভাবে ছড়িয়ে আছে ক্যামব্রীজের রাস্তায়-পাবে-ল্যাবে।
বিজ্ঞানী নিউটনও কিন্তু ক্যামব্রীজের গবেষক ছিলেন। ট্রিনিটি কলেজের সামনের সেই আপেল গাছ এখনও আছে। তবে অন্যান্য কলেজের ছাত্ররা এটাকে ট্রিনিট কলেজের গুজব বলে হাসিতামাশা করে উড়িয়ে দেয়। গুজব হোক কিংবা সত্য, সেই আপেল গাছের সামনে দাড়িঁয়ে ছবি তোলার লোভটা সামলাতে পারলাম না। আমাদের গাইড তখন আমাদেরকে নিয়ে গেলেন Newton’s Mathematical Bridge এর সামনে। এই মহান গণিতবিদ এমন একটি ব্রীজের নকশা তৈরি করেন যেটা কোন পেরেক অথবা কলাম ছাড়াই দাড়িঁয়ে থাকবে। বলবিদ্যার গুরুর কারসাজি বটে! কিন্তু, নিউটন যখন ছুটিতে গেলেন তখন তার ছাত্ররা সেই কাঠের টুকরাগুলো খুলে আবার জোড়া লাগিয়ে ব্রীজটা বানিয়ে প্রমাণ করতে চাইলো যে তারাও নিউটনের মতো জিনিয়াস। কিন্তু, নিউটন তো একজনই। অনেকদিন চেষ্টা করেও তার ছাত্ররা সেই ব্রীজটা আবার বানাতে পারলেন না। কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশেষে পেড়েক মেরে ব্রীজটা জোড়া লাগান। নিউটন ছুটি শেষে ফেরত এসে তো রেগে মেগে শেষ! এতটুকু বলার পর আমাদের গাইড হেসে হেসে বললেন— “This is an amusing story that
you will hear in the streets of Cambridge. Unfortunately, this story is
completely untrue!” বাহ! ব্রিটিশরা এই সুন্দর সুন্দর গুজব ছড়াতে বেশ ওস্তাদ!
এই ব্রীজের নীচ দিয়ে দেখলাম বিখ্যাত ক্যাম নদীতে চলছে নৌকাভ্রমণ বা পান্টিং ট্রিপ। ভবিষ্যতে ক্যামব্রীজ গেলে এই পান্টিং না করে ফেরত আসা যাবে না।
গ্রেগ অবশেষে ট্রিনিটি কলেজের সামনে থেকে বিদায় নিলো। শেষ গল্পটা ছিলো সবচেয়ে আকর্ষণীয়। সব বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই বেশ ডানপিটে হয়। ক্যামব্রীজের ছাত্ররা এই দিক দিয়ে একটু বেশীই ডানপিটে। Night Climbers নামের একদল ছাত্র ক্যামব্রীজের বিশাল বিশাল প্রাসাদের উপরে উঠে সেখানে দুষ্টমি করে কমলা রেখে আসে। এদের উপদ্রব ঠেকাতে অনেক বিল্ডিং-এ তাই কাটাঁ দেয়া থাকে। ট্রিনিটি কলেজের গেইটের উপর এক রাজার মূর্তি; তার হাতে একটা স্বর্ণদন্ড ধরা। কোন এক সকালে দেখা গেলো সেই দন্ডের জায়গায় রাজার হাতে একটি সাইকেলের তালা ঝুলে আছে। ধারণা করা হয় এইটা সেই Night Climbers দের কাজ। কলেজ কর্তৃপক্ষ সেটা সরিয়ে নেয়। তারপর একজন মিস্ত্রী জানালা ঠিক করতে গিয়ে দেখে যে রাজার হাতটা খালি। হাতের কাছে একটা চেয়ারের ভাঙা পা পড়ে ছিলো। এখনো ট্রিনিটি কলেজের গেইটে সেই রাজার হাতে একটি চেয়ারের ভাঙা পা ঝুলে আছে। গল্পের সত্যতা যাচাই করা আমার পক্ষে সম্ভব না। কিন্তু, গল্পের রোমাঞ্চটা শতভাগ মনজয় করেছিলো।
ক্যামব্রীজ শহর বেশ ছোট। মোটামুটি হেটেঁই আপনি পুরোটা ঘুরে দেখতে পারবেন। রাস্তাগুলো অনেক চিপা চিপা। তবে প্রতিটি গলিই ছবির মতো সুন্দর, বইয়ের মতো জ্ঞানসমৃদ্ধ।
আমার ক্যামব্রীজ গল্পের শেষ করবো একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা দিয়ে। ৮ জানুয়ারি সকালবেলা একটা ট্যাক্সি ডাকলাম। অবশেষে সেই বিজ্ঞানীর সাথে দেখা করতে যাচ্ছি। প্রায় ৬ ঘন্টার আড্ডা হবে তার দলের সাথে। আমি বেশ রোমাঞ্চিত। সকাল সাড়ে ৯টায় ক্যাব আসলো বাসার নীচে। ড্রাইভার জিজ্ঞাসা করলো, “কই যাবেন?’” আমি বললাম, “ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে বিল্ডিং”। ড্রাইভার বললে, “You are in luck. I know the
place.”
আমার ভাবসাবে ড্রাইভার পল বুঝতে পারলো আমি হয়তো ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা করি। আমি উত্তরে বললাম, “হু”। সাথে সাথে সে আমাকে জিজ্ঞাসা করলো, “ক্যান্সারের উপর হাইপোক্সিয়ার প্রভাব সম্পর্কে তোমার কি অভিমত?” আমার ড্রাইভারের কাছ থেকে এই প্রশ্ন শুনে আমি তো হতভম্ব! এ কী! আমার সম্বিত ফেরত আসতেই তার দ্বিতীয় প্রশ্ন, “তুমি তো জেনেটিসিস্ট. তোমারি কি মনে হয় মিউটেশনই ক্যান্সারের জন্য বেশী দায়ী? নাকি এপিজেনেটিক্স?” এপর্যায়ে আমি আর মানতে পারলাম না। পলকে জিজ্ঞাসা করলাম, “ভাই, তুমি কি করো?” পল বললো, “আমি ট্যাক্সি চালাই। কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হয়নি। তাই ইন্টারনেট ঘেটেঁ যা পাই তাই পড়ি।” আমি নামার সময় পলকে বললাম, “Paul, you probably know more about
cancer than me.” উত্তরে পল বললো, “Have a good day, Shamir.”
দিনশেষে আবার ট্রেনে চড়ে ফেরত যাচ্ছি অক্সফোর্ডে, সেই চিরচেনা ছোট্ট বাসায়। ক্যামব্রীজ ভ্রমণটা আমার জন্য একটা রোমন্থনযোগ্য স্মৃতি হিসেবে থেকে যাবে চিরদিন। আর সব সময় মনে থাকবে পলের কথা।
A taxi
driver in Cambridge probably knows better science than you.